হাবিপ্রবি: জন্মাষ্টমী ২০২১- উদযাপন উপলক্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ১৫ ই ভাদ্র, ১৪২৮( ৩০ আগস্ট, ২০২১ খ্রি.) ভার্চুয়ালি উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার। মূখ্য আলোচক হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন ময়মনসিংহ এর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ভক্তিপ্রদানন্দ মহারাজ। সম্মানিত আলোচক হিসাবে সংযুক্ত ছিলেন প্রফেসর ড. বলরাম রায় , রসায়ন বিভাগ, হাবিপ্রবি দিনাজপুর ও প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, হাবিপ্রবি দিনাজপুর । আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক এবং ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম.কামরুজ্জামান সবাইকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন এবং স্বাধীনতার পর দেশ শাসনে যেটুকু সময় পেয়েছিলেন সেই সময়ে তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা ধারণ করেই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরাও সেই চেতনা ধারণ করে হাবিপ্রবি কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
ভাইস চ্যান্সেলর আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময় চারিদিকে অরাজকতা, নিপীড়ন, অত্যাচার চরম পর্যায়ে ছিল। সেই সময় মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। সর্বত্র ছিল অশুভ শক্তির বিস্তার। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে জন্মাষ্টমীর ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। এ থেকে আমরা অনেকেই অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। আমি তাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় নির্ধারিত ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যাবহার করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।