ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষিবিজ্ঞানী, ন্যাশনাল এমিরেটাস সায়েন্টিস্ট, কাজী পেয়ারার জনক ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচার একাডেমির ফেলো ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো -২০২১ প্রফেসর ড. এম আফজাল হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ও সোনিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতউদ্দিন মোঃ কায়সার খান।
এক শোকবার্তায় ড. এম আফজাল হোসেন বলেন, ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি গবেষণার বুনিয়াদ রচিত হয়। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি পাকিস্তান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের পদ পরিত্যাগ করে দেশের কৃষি গবেষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কৃষি গবেষণার সংস্কার, উন্নয়ন ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের শীর্ষ পদে তিনি দীর্ঘদিন নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেয়ারার একটি জাত উদ্ভাবন করেন, যা পরবর্তীতে তার নামানুসারে ‘কাজী পেয়ারা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
ড. এম আফজাল হোসেন আরও বলেন, ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কৃষি সংগঠক, কৃষি বিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল এমিরেটাস সাইন্টিস্ট। কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। দেশের কৃষি গবেষণায়, গবেষণার সম্প্রসারণে ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালী কাঠামো তৈরিতে তাঁর অবদান অনন্য। কৃষিখাতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এনায়েতউদ্দিন মোঃ কায়সার খান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় যিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তিনি হলেন ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা স্যার। প্রখর মেধা, পেশাগত দক্ষতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রদানের অসাধারণ গুণাবলির অধিকারী ছিলেন তিনি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কৃষি গবেষণার উজ্জ্বল এই নক্ষত্রের বিদায়ে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়। আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতবাসী করুন।
You must be logged in to post a comment.