এম আব্দুল মান্নান।। ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ স্লোগানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২ উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর ডেভলোপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস) এর আয়োজনে ও ব্যবস্থাপনায় এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি অফিস প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে মূল ফটক হয়ে পুনরায় অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর দিবস গুরুত্বের উপর কৃষি অফিসের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার আশরাফুজ্জামান ভূইয়া এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসডিএস এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ খাজি আলম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, অধিক উৎপাদন ও লাভের আশায় কৃষকরা জমিতে অধিক হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে। মানুষ প্রতিনিয়ত মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পড়ছে। এক সময় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সার/ কীটনাশক ব্যবহারে অনুমতি দেয়া হলেও এখন রাসায়নিক সার/ কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের সরকার বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। আগামীতে বাজারে শাকসবজি বিক্রি করতে গেলেও লাইসেন্স করতে হবে। যারা সবজি উৎপাদনে মাত্রারিক্ত সার/কীটনাশক ব্যবহার করেন মূলত তাদের লাগাম টেনে ধরতেই এমন পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। নিরাপদ সবজি ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ইতোমধ্যে সরকার ৩৯ টি বায়োপেস্টিসাইড অনুমোদন দিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সবজি ও খাদ্য উৎপাদনে আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সামান্য লাভের আশায় অতিরিক্ত সার/ কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত নয়। আমাদের বায়োপেস্টিসাইড জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে তাহলে একদিকে যেমন জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে তেমনি ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়বে এবং মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকি কমে যাবে।
আলোচনা শেষে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে এসডিএস কর্তৃক আয়োজিত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদে র মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় এসডিএস’র সদস্যবৃন্দ, সার ও কীটনাশকের ডিলারগণ, স্থানীয় খামারী ও স্কুল-কলজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।