হাবিপ্রবি, দিনাজপুর: নিয়মিত ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ডিনগণের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ ১৯৬৭ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় থেকে অনার্স ও এমএসসি (মাস্টার অব সায়েন্স) ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে কোরিয়ার অ্যানডং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপসহ (ব্রেইন কোরিয়া) এ্যাপ্লাইড এন্টমোলজি এর উপর পি. এইচডি ডিগ্রী এবং গ্রীস এর এ্যারিস্টটল ইউনিভার্সিটি অব থিসালোনিকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রীক সরকার কর্তৃক স্কলারশিপসহ এপিকালচার এর উপর পোস্ট ডক করেন।
১৯৯৩ সালে তিনি দিনাজপুরে অবস্থিত গম গবেষণা কেন্দ্রে সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে চাকুরীজীবন শুরু করেন এবং একই বছর পটুয়াখালী কৃষি কলেজের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০১ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে উক্ত বিভাগে ২০০৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক, ২০১১ সালে অধ্যাপক (গ্রেড-৩), ২০১৬ সালে অধ্যাপক (গ্রেড-২) এবং ২০২০ সাল হতে অধ্যাপক (গ্রেড-১) হিসেবে হাবিপ্রবির কীটতত্ত্ব বিভাগে কর্মরত আছেন।
তিনি বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিজ ও শিক্ষক পদোন্নতি কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউনিভার্সিটি অব জর্দান। পাশাপাশি তিনি ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন অব এক্যারোলজিস্ট, বাংলাদেশ এন্টমোলজিক্যাল সোসাইটি এবং বায়োডাইভারসিটি রিসার্চ গ্রুপ অব বাংলাদেশ এর আজীবন সদস্য, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ এর সদস্য। এছাড়াও তিনি হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তার অধিনে ১৯ জন শিক্ষার্থী এমএস ও ৩ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। আন্তজার্তিক জার্ণালে তার প্রকাশনার সংখ্যা ৪৩ টি এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।