হলুদ ফুলকপি চাষে লাভবান শরীয়তপুরের আব্দুর রাজ্জাক

প্রকাশ:

Share post:

আব্দুল মান্নান: সাদা রং এর ফুলকপি দেখতে মানুষ অভ্যস্ত হলেও শরীয়তপুরের স্থানীয় বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে হলুদ ও বেগুনি রং এর ফুলকপি। খাইতে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভালো হওয়ায় দিন দিন নতুন এই জাতের ফুলকপির প্রতি আগ্রহ ও চাহিদা বাড়ছে মানুষের। সাদা রং এর ফুলকপির তুলনায় কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেশি হলেও বাজারে আসামাত্রই দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তবে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়ভাবে খুচরা ও পাইকারী সবজি বিক্রেতা।

জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন চরখোরাতলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়া রঙিন জাতের এই ফুলকপির চাষ করেন। স্থানীয় বেসরকারি উন্ননয়ন সংস্থা এসডিএস’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় তিনি প্রথমবার হলুদ ও বেগুনি রঙ্গের ফুলকপি চাষ করেন। এই বছর পরীক্ষামূলকভাবে তিনি তাঁর ১০ শতক জমিতে প্রায় ১০০০ টি রঙিন জাতের ফুলকপির চারা রোপন করেন। চারা রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে হলুদ জাতের ফুলকপি বিক্রি উপযুক্ত হয়। বাজারে এক একটি হলুদ ফুলকপি ১০০-১২০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে সবজি চাষী আব্দুর রাজ্জাক জানান, হলুদ বা বেগুনি জাতের ফুলকপি চাষ করার জন্য আলাদা কোন জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। সাদা ফুলকপি যেভাবে চাষ করতে হয় সেভাবে হলুদ ফুলকপিও চাষ করা যায়। এবার প্রথমবার আমি এসডিএস’র খাজি আলম ভাইয়ের সহায়তায় ১০ শতক জমিতে এই ফুলকপি চাষ করি। এতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় আর আমি ফুলকপি বিক্রি করেছি প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সবমিলে ১০শতক জমিতে ফুলকপি করে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ফুলকপির ক্ষেত দেখতে অনেক মানুষ আসে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় দ্রুতই আমার ক্ষেতের ফুলকপি শেষ হয়ে গেছে। আগামী বছর আরও ব্যাপকভাবে হলুদ ফুলকপির চাষ করতে চাই আমি।

আরও পড়ুন:  বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনগুলো কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে:ভিসি

খোরাতলা গ্রামের আরেক সবজি চাষী শাহাজাহান মাদবর বলেন, হলুদ ফুলকপি দেখতে অনেক সুন্দর এবং বাজারেও এর চাহিদা বেশি। সাদা ফুলকপির তুলনায় বাজারে হলুদ রঙের এক একটি ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসডিএস বীজ দিয়ে সহযোগিতা করলে আগামী বছর এ জাতের ফুলকপির চাষ করার ইচ্ছা আছে আমার।

এসডিএস এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ খাজি আলম বলেন, পিকেএসএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় এ অঞ্চলে ব্রোকলি, লেটুস, রেড বিট, রেড ক্যাবেজ, স্কোয়াস, ক্যাপসিকামের চাষ করা হচ্ছে। এ বছর সর্বপ্রথম আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়াকে হলুদ ও বেগুনি রঙ্গের ফুলকপির বীজ দেওয়া হয়। হলুদ ফুলকপি বিক্রি শেষ হলেও বেগুনি ফুলকপি বিক্রি হতে আরো সাত দিন সময় লাগবে। আমরা কৃষককে ফুলকপি চাষে সবধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। রঙ্গিন ফুল কপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুকি হ্রাস করে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমরা আশা করছি, আগামীতে এ অঞ্চলে রঙ্গিন ফুলকপির চাষ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ হবে।

spot_img

সংবাদ সারাদেশ

ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ গ্রীন ভয়েসের ৭ দাবি

পরিবেশ সুরক্ষায় পুরনো যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করা ও কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ ৭ দফা...

জানাক ও বৈষম্যবিরোধীর নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে আসছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ...

কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নিন্দা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের পাবলিক...

ইটভাটায় কাজে গিয়ে নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে একটি ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের ১৯...

Discover more from bartabulletin.com

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading