জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত সকলে ১৫ আগস্টে জাতির পিতাসহ শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মোঃ মশিউর রহমান হুমায়ুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন, ডিএমপি কমিশনার কৃষিবিদ মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল খুনীদের বিচার হয়নি। পরোক্ষভাবে জড়িতদেরও মুখোশ উন্মোচন করে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। শেখ হাসিনা খুনি জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরেছিলেন। দেশকে বাঁচানোর সংগ্রামে কাজ শুরু করেন। এখনো অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় যড়যন্ত্রকারীরা সরব হয়ে উঠেছে। তারা চায়না দেশ আত্মনির্ভরশীল হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা করছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের অনুসারী এখনো আছে। তারা ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার স্লোগান দেয়। এরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। দেশকে ব্যর্থ করতে চায়, বাঙালি জাতিসত্তাকে বিনষ্ট করতে চায়। এরা নারীর ক্ষমতায়ন চায়না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করে দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্টের হামলাকারীরাই ২১ আগস্ট হামলা করেছিল। এখনও দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। সকল যড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শকে নিয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় কৃষিকে নিয়ে ভেবেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সারে তিন বছরে তার যে পরিকল্পনা ছিল সেগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সমবায় ভিত্তিক কৃষি ভাবনা দেশের কৃষিতে অনেক পরিবর্তন এনেছিল। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন বই পড়তে হবে, বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে।