নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বাংলাদেশ ও বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় করেছেন জার্মান দূতাবাসে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনারারি কনস্যুল এবং ফর বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়াঁ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮:০০ টায় হোটেল ল্যা মেরিডিয়ানে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশ-জার্মান বৈজ্ঞানিক ও কারিগরী সহযোগীতার বিষয় নিয়ে আশাব্যঞ্জক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অভ গটিংগেন এবং ম্যাক্সপ্লাংক ইনস্টিটিউটে দুবছরব্যাপী আলেকজান্ডার ফন হুমবোল্ডট ফেলো হিসেবে গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা এবং বেশ কয়েকজন জার্মান অধ্যাপকের সাথে গমের ব্লাস্ট রোগ এবং জিন এডিটিং বিষয়ে গবেষণার অগ্রগতি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা তুলে ধরেন অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম। এসময় অনারারি কনস্যুল ইন্জিনিয়ার হাসনাত মিয়াঁ জার্মানির বিশ্বখ্যাত ম্যাক্সপ্লান্ক ইনস্টিউট এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ইনস্টিটিউট অভ বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং (আইবিজিই)র বিজ্ঞানীদের শক্তিশালী যৌথ গবেষণা কার্যক্রম করার সুযোগ তৈরির করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, দেশের কল্যাণে অফশোর-অনশোর সংযোগের মাধ্যমে একযোগে কাজ করা হবে। আমি দেখেছি, করোনা মোকাবিলা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়াঁ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই করোনা মহামারীতে তিনি দেশের মানুষের কথা ভেবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, চিকিৎসা উপকরণসহ নানাবিধ মূল্যবান উপকরণ জার্মানি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন এবং বাংলাদেশ-জার্মান কারিগরী সহযোগীতা উন্নয়নে অত্যন্ত সফলভাবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া জার্মানিতে আমার কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ডিএএডি স্কলারশিপ নিয়ে গটিংগেন এবং বন বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশী গবেষকদের নানারকম সহযোগীতা প্রদানে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফরে এসে ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়াঁ ‘ফর বাংলাদেশ এসোশিয়েশন’ জার্মানী এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছো মুজিব হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে একটি আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ফর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, জার্মানি এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ যৌথভাবে বিনামূল্যে নিউরো এবং প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলো। ওই আয়োজনে গরীব ও সুবিধা বঞ্চিত রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেয়েছিলেন।শুধু তাই নয় ২০১২ সাল থেকে ফর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, জার্মানি নামের এই সংগঠনটি আগুনে, পেট্রোলে পুড়ে যাওয়া মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। ২০১৫ সালে বিএনপি-জামাতের হরতাল, জ্বালাও পোড়াওয়ে যখন শত শত মানুষ বার্ণ ইউনিটে ভর্তি হয়ে বাচার জন্য কান্নাকাটি করেছিল তখন ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়াঁর নেতৃত্বে জার্মান থেকে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে এসে মানুষকে সেবা দেয়া হয়। এছাড়া বিনামূল্যে পঙ্গু রোগীদের প্লাস্টিক পা, হাত ইত্যাদি দেয়া হয়েছে।