উদ্যোক্তা খুঁজছে এসডিএস

প্রকাশ:

Share post:

এসডিএস: মাছ বাঙালি জাতির সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অংশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ৩.৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ২৫.৭২ শতাংশ। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে মাছ থেকে। দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে। দেশের মানুষ গড়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২.৫৮ গ্রাম মাছ বর্তমানে গ্রহণ করছে। কিন্তু আমাদের দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আমাদের দেশের হাটে-বাজারে মূলত তাজা/গোটা মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্রেতা মাছ কেনার পর তা মাছ বিক্রেতা বা বিদ্যমান সেবা প্রদানকারীর (মাছ কাটুরের) নিকট থেকে কেটে বাসায় নিয়ে যায়। শহরাঞ্চলে মাছ কাটা-বাছার সমস্যার কারণে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ বা সামর্থ্যাভাবে দামী বড় মাছ (যেমন-বোয়াল, আইড়, ভেটকি, কোরাল ইত্যাদি মাছ) খেতে পারে না বা খায় না। কিন্তু এসকল মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই RMTP’ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোগে “Ready to Cook”/ ফিস ও মিট প্রসেসিং প্লান্ট তৈরির জন্য উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন “নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ” উপ-প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুর জেলায় রেডি টু কুক/ফিস প্রসেসিং প্লান্ট তৈরির জন্য উদ্যোক্তা খুঁজছে এসডিএস (শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি)। আগ্রহী উদ্যোক্তাদের প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হবে।

উদ্যোক্তাদের সহায়তার উদ্দেশ্য:
1. প্রকল্প এলাকায় প্রক্রিয়াজাত মৎস্য পণ্যের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি
2. “Ready to Cook” মৎস্য পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও বাজার উন্নয়ন
উদ্যোক্তা ধরণ:
1. আধুনিক ডিজাইন মোতাবেক প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপন করার আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হবে
2. হালাল, বিএসটিআই, হ্যাচাপ সনদায়ন নিয়ে কন্টাক ফার্মিং উৎপাদিত নিরাপদ মুরগির মাংস স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন বায়ারের মাঝে বিক্রয় করতে হবে এবং অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
3. প্ল্যান্টের মোট খরচের ২৫% প্রকল্প থেকে বরাদ্দ থাকবে বাকি খরচের ৭৫% উদ্যোক্তা নিজ থেকে খরচ করার আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হবে।
4. প্রকল্পর মেয়াদ শেষ হবার আগে কোনক্রমেই ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না, করলে প্রকল্প থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ ফিরত দিতে হবে।
সহায়তার মেয়াদ: প্রকল্পকালীন সময়। তবে আর্থিক অনুদান প্রাথমিক পর্যায়ে প্রদান করা হবে।
সহায়তার ক্ষেত্র: মৎস্য প্রসেসিং এর যন্ত্রপাতি ও রেফ্রিজারেটর ক্রয়, ডিসপ্লে বোর্ড ইত্যাদি।
লক্ষ্যমাত্রা ও সময়কাল: প্রকল্প বাজেটভিত্তিক লক্ষমাত্রা ও সময় অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করতে হবে।
কাঙ্খিত আউটপুট: “Ready to Cook” মৎস্য পণ্য সরবরাহে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন।

আরও পড়ুন:  ভাষা সৈনিক আব্দুর রৌফ চৌধুরীর সমাধিতে গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

আগ্রহী উদ্যোক্তাদের আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং এর মধ্যে নিম্নোক্তা ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো:

মোঃ আব্দুল মান্নান
ভিসিএফ, আরএমটিপি
এসডিএস, সদর, শরীয়তপুর
মোবাইলঃ ০১৭৯১৫৫৪০০১
ইমেইলঃ rmtpfish.sds@gmail.com

spot_img

সংবাদ সারাদেশ

ফুলবাড়ীতে আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৫ পালিত

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দ্বন্দ্বে কোন আনন্দ নাই, আপোষ করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোন চিন্তা...

ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ গ্রীন ভয়েসের ৭ দাবি

পরিবেশ সুরক্ষায় পুরনো যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করা ও কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ ৭ দফা...

জানাক ও বৈষম্যবিরোধীর নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে আসছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ...

কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নিন্দা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের পাবলিক...

Discover more from bartabulletin.com

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading