নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর শাখার সাবেক সহ-সভাপতি রণবীর বাড়ই সজলকে (৩৫) গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালত চত্বরে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার দিকে ডিম নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সজলের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের মোংলা এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈমুর ইসলাম জানান, সজলকে খালিশপুর থানার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। পৃথক পাঁচটি মামলায় তার ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো জানান, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় সজল এজাহারভুক্ত আসামি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিস্থিতি অনুকূল হলে ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট খালিশপুর থানায় এই মামলা করেন। সজলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আদালত চত্বরে সজলকে দেখে ক্ষুব্ধ জনতা তার দিকে ডিম নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এ সময় একজন পুলিশ পরিদর্শক মন্তব্য করেন, “একটি দল কতটা জনবিচ্ছিন্ন হলে সেই দলের একজন নেতাকে এভাবে নাজেহাল হতে হয়, তার খণ্ডিত প্রমাণ এটি।”