নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১নং বুধন্তী ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এফতেহারুল ইসলাম শামীম মাস্টার। যিনি বুধন্তী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক এবং তার বড় ভাই ড. তোফাজ্জল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশ্বের নামকরা কৃষি বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো।
আসন্ন নির্বাচনে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও ভিন্নদল থেকে মনোনয়ন নিয়ে অনেকেই চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। তবে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সকলের চেয়ে শিক্ষাগত ও ব্যক্তিগত যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এফতেহারুল ইসলাম শামীম মাস্টার।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে জম জমাট হয়ে উঠেছে চায়ের দোকান, হাট-বাজার থেকে শুরু করে সর্বত্র । তীব্র ঠান্ডা আর শীতকে উপেক্ষা করে অলিতে গলিতে চলছে প্রচার-প্রচারণা, চলছে উঠান বৈঠক। গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দাড়স্থ হচ্ছেন স্ব-স্ব মার্কার প্রার্থীরা। এদিক থেকে এগিয়ে আছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী শামীম মাস্টার। রাত-দিন দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন তারা। জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ, যুবমহিলালীগ, সহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরা মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
গত তিনদিন বিভিন্ন স্হানীয় সুধীজনের সাথে নির্বাচনী হালচাল জানতে চাইলে ও জনমত জরিপে জানা গেছে– নৌকার প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক, লিফলেট, মাইকিং, মিছিল করতে যতটা দেখেছেন ততটা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চোখে পড়েনি। নৌকা মার্কার পক্ষে গণ জোয়ার উঠেছে। শিক্ষিত ও তরুণ সমাজ সকলেই বলছেন শামীম মাস্টার এবার নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। কারন হিসেবে অনেকেই বলছেন, ইতোপূর্বে যারা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং অন্যান্য যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা শিক্ষা দীক্ষায়, মন-মানসিকতায় এতটা উন্নত নয়। সৎ, ভদ্র সাদা মনের মানুষ হিসেবে শামীম মাস্টার সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।
নৌকার প্রার্থী এফতেহারুল ইসলাম শামীম মাস্টারের ছোট ভাই কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এলাকায় গিয়েছিলাম। প্রতিটি উঠান বৈঠক, সভায় যে রকমভাবে মানুষের ঢল দেখেছি তাতে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। সবাই অত্যন্ত স্বতর্স্ফুর্তভাবে মিটিং মিছিলে অংশ নিচ্ছেন এবং নৌকায় ভোট চাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, বর্তমান সরকার নৌকা মার্কার সরকার। নৌকা মানেই উন্নয়ন। এই নৌকা মার্কায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করেছেন এই মার্কাতেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি যেভাবে গত এক দশকে দেশকে অনন্য উচ্চমাত্রায় এগিয়ে নিয়েছেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন তা অন্যকোন সরকার পারেনি। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকার হিসেবে আওয়ামীলীগ যেমন দেশের উন্নয়ন করছেন তেমনি স্থানীয় সরকারেও যদি আমরা ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় নৌকা মার্কার প্রার্থী শামীম মাষ্টারকে বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারি তাহলে এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত হবে। আর এর সুফল ইউনিয়নের সকলেই পাবেন।
সাতবর্গের এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড.তানভীর ভুঁইয়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বুধন্তী ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী এফতেহারুল ইসলাম শামীম মাস্টার কে আপনাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। সবাই ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করুন। নৌকা জিতলে জিতে যাবে বুধন্তী ইউনিয়নবাসী।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জিতু মিয়া বলেন, আমি নিজেও প্রার্থী ছিলাম তবে দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি এজন্য আমি নির্বাচন থেকে সরে এসেছি। যারা দলের মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের জন্য কাজ করছি। যারা দলের নির্দেশনা না মেনে বিদ্রোহী হয়েছেন তাদের সাথে আমরা বসার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা সাড়া দেননি। তবে যারা প্রকৃত আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আছেন তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
বুধন্তী ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী এফতেহারুল ইসলাম শামীম মাস্টার বলেন, আমার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে যেভাবে ভোটের জাগরন উঠেছে। আগামী ২৬ তারিখে অবাধ ও সুস্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হলে আমি সর্বাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার আশাবাদী। আমি নির্বাচিত হলে অত্র বুধন্তী ইউনিয়নকে একটি মডেল ও আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো। মানুষ যাতে ইউনিয়ন পরিষদের এসে কোন ভোগান্তির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে কাজ করা হবে। পাশাপাশি ইউনিয়নে রাস্তাঘাট সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।