নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা অ্যালপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ২০২৫ এর বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) ১০ জন গবেষক।
এই তালিকাভুক্ত বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক অধ্যাপক ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. উকামান্ত সরকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, অধ্যাপক ড. জিকেএম মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. জিএম মনিরুল আলম, অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন, অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন মোল্লা, ড. মোঃ নাহিদুল ইসলাম, এবং ড. মোঃ নাজমুল হক। এর আগে এলসিভিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড কর্তৃক শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকা-২০২৪ প্রকাশিত হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Carrear long scopus data হিসেবে একমাত্র স্থান পান অধ্যাপক ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম। এছাড়াও ২০২৩ সালের স্কোপাস ডেটা অনুসারেও অধ্যাপক ইসলামসহ স্থান পেয়েছিলেন অধ্যাপক ড. উমাকান্ত সরকার, অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, এবছর টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিং ও উড়ি র্যাংকিং এ বাংলাদেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। টাইমস হায়ার এডুকেশনে বশেমুরকৃবির সাথে, যৌথভাবে প্রথম স্থান দখল করেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বশেমুরকৃবির অভূতপূর্ব সাফল্যের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকাশনার উৎকর্ষতা ও অন্যান্য স্কলারলি কর্মকান্ড নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম ।
এবিষয়ে অধ্যাপক ইসলাম বলেন, এ কৃতিত্ব অর্জনে আমার গবেষণা দলের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমার গবেষণাদল প্রতি বছরে ৩০-৪০ টি গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে প্রকাশ এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন বশেমুরকৃবির এ গৌরবোজ্জ্বল কৃতিত্ব অর্জনে অবদান রেখেছে। আমি এই গবেষণা দলের একজন কর্মী হিসেবে বশেমুরকৃবির এই অর্জনে ভীষণ খুশি। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষকবৃন্ধ নিয়মিত উঁচু মানের গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ করে আসছে, যা এ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিনে আরও অগ্রসর করতে সহায়ক হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্যা, ড. তোফাজ্জল ইসলাম পরপর দুই বছর এলসিভিয়ার-স্টানফোর্ড (টপ ২%) গবেষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।