ঢাকারবিবার , ৯ মে ২০২১
  1. আনন্দধারা
  2. আন্তর্জাতিক
  3. ইসলাম ও জীবন
  4. কৃষি ও অর্থনীতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. গল্প ও কবিতা
  9. চট্রগ্রাম
  10. চাকুরী বার্তা
  11. জনমত
  12. জাতীয়
  13. ঢাকা
  14. পরিবেশ ও বিজ্ঞান
  15. ফিচার

কৃষির উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকার

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ।বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান কর্মকান্ড এবং চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি।উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।দেশের জিডিপিতে কৃষি খাত (ফসল,মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং বন) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ এবং শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক অংশ কৃষিতে নিয়োজিত। কৃষি সামাজিক কর্মকান্ডের এক বিশেষ ক্ষেত্রে যা জনগনের খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা, আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।এদেশের গ্রামের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে প্রথমে আসে কৃষি উন্নয়ন-কৃষি ভিত্তিক শিল্প,বাণিজ্য ও সেবা খাতের উন্নয়ন।স্বাধীনতার পর কৃষি উৎপাদনযোগ্য ভূমির পরিমান বৃদ্ধি না পেলেও প্রতি মুহুর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্যগ্রহনকারীর সংখ্যা। স্বাধীনতার পরবর্তী কৃষিক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির যে ধারা সূচিত হয়েছিল আজ  তারই সুযোগ্য কন্যা কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ  তা সকলের মাঝে দৃশ্যমান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষিতে গুরত্ব দিয়ে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলেন।পরবর্তী যখন বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশকে আবারো খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়।কারন তারা কখনই চায়নি বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, এদেশের মানুষ দু-বেলা দু-মুঠো ভাত খেতে পারুক। তাঁরা লুট-পাট করে খেয়ে এদেশটাকে পাকিস্তানিদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিল। যার উৎকৃষ্ট উদাহারণ কৃষি ও কৃষকের প্রতি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বর্বরতার চিত্র। কৃষি উৎপাদনে সারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কৃষি উপকরণের দুষ্প্রাপ্যতা, অনিয়ম, অনাচার ও স্বেচ্ছাচারিতা, ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা এবং ২০০৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত ২৪ কৃষককে গুলি করে হত্যা।ক্ষমতা হারিয়ে হরতাল,অবরোধ, জ্বালা-পোড়াও করে মানুষ পুড়িয়ে মারা ছিল তাঁদের আর একটি উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদাহারণ। তাঁদের এহেন কর্মকান্ডের জন্য এদেশের মানুষ তাঁদের প্রত্যাখান করেছে।অন্যদিকে কৃষি ও কৃষকের প্রতি ভালোবাসা এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে বিজয়ী হয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী সরকার। দলীয় সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিন বদলের সনদ’ ও ‘রূপকল্প ২০২১’-এর আলোকে প্রণয়ন করেন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১)’ এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, যা উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে আসছে।শেখ হাসিনা সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে (২০১৪-১৮) প্রণীত হয় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। রূপকল্প ২০২১-কে সামনে রেখে ২০০৯ সালে উন্নয়নের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল তার গতি ও পরিধি সরকারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেয়াদে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। দেশের কৃষক ও কৃষিখাতের উন্নয়নে আওয়ামী সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়ার ফলেই কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য এসেছে এবং গত এক দশকে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার কৃষি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান  কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা,কৃষককে ভর্তুকি মূল্যে সার প্রদান, বীজ, যন্ত্রপাতি , সেচ মওসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান এবং বর্গা চাষিদের জন্য কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে বিনা জামানতে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করণসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের ফলে খোরপোষের কৃষি আজ  বানিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হয়েছে। জনসংখ্যার অত্যধিক ঘনত্ব, জমি-জনসংখ্যার অনুপাত এবং চাষযোগ্য জমির ক্রমশ সংকোচন সত্ত্বেও বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

আরও পড়ুন:  বাঙালি জাতির বাতিঘর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ধান উৎপাদন ছিল মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ টন,২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা তিন গুণের বেশি বেড়ে ৩ কোটি ৬২ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। ধান, গম ও ভুট্টা মিলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। ৭০ লাখ টন আলুর অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিপরীতে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ১ কোটি ৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। সবজী উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ।হাঁস-মুরগির মাংস ও ডিম উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চালের উৎপাদন প্রতি বছর গড়ে ৪.৮৮ লাখ টন হারে বেড়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত আছে।পুরাতন জাতকে বাদ দিয়ে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করে প্রতিনিয়ত চাল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখে চলেছেন এদেশের কৃষি বিজ্ঞানী। উৎপাদন বৃদ্ধির এই ধারায় ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ফসলের ৫৮৪টি উচ্চফলনশীল নতুন জাত আর ৪৪২টি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে।ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন,বীজ সরবরাহ,কৃষি উপকরণে প্রণোদনা প্রদান,সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ,কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রবর্তন এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা,কৃষি খাতের উন্নয়নে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও সেচ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কৃষিজমির আওতা সম্প্রসারণ,কৃষকদের ডাটাবেস তৈরি,প্রশিক্ষণ,শস্য বহুমুখীকরণ, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের সহায়ক পরিবেশ সৃজন, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান,কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন,বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য উপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন, কৃষি গবেষণার জন্য এনডাউমেন্ট ফান্ড মঞ্জুর এবং উৎপাদন বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষার্থে জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা সরকারের নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করার লক্ষ্যে চালু হয়েছে  Synchronized Farming জোরদার হয়েছে। ডিজিটাল কৃষি তথা ‘ই-কৃষি’ প্রবর্তনের ধারা।দেশে ৪’শ ৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি), কৃষি কল সেন্টার ১৬ হাজার ১২৩, ইউটিউব, কৃষি তথ্য বাতায়ন, কৃষক বন্ধু ফোন-৩ হাজার ৩৩১,ই-বুক, অনলাইন সার সুপারিশ, ই-সেচ সেবা, কৃষকের জানালা, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, কমিউনিটি রেডিওসহ বিভিন্ন মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে যা কৃষিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বীজতুলা বিক্রয়ে ই-সেবা, পোকা দমনে পরিবেশবান্ধব ইয়েলো স্টিকি ট্র্যাপ ব্যবহার,নগর কৃষি,ডিজিটাল কৃষি ক্যালেন্ডার বাছাই করে দেশব্যাপী ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এবং সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৯৯,২০১৩ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাতীয় কৃষিনীতি প্রণয়ন কৃষিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।কৃষিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারও কৃষকদের উৎসাহিত ও উদ্যমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন:  গুণীজনদের সাথে সেমিনারে অংশগ্রহণ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কৃষি ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং দিকনির্দেশনায় খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। খাদ্য শস্য উৎপাদন, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংসস্থান ও রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষি এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টা ফলনে বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে।মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপি’তে কৃষি খাতের অবদান ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।

চলমান কোভিড-১৯ সারা পৃথিবীর মানুষের জীবন-জীবিকাকে যেমন হুমকির মুখে ফেলেছে, তেমনি এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকেও ব্যাহত করছে। ইতোমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার কারণে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে করোনা, আম্পান ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। করোনার বিরূপ পরিস্থিতিতেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

দেশের উন্নয়ন হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গীকার, নেতৃত্ব ও সাযুজ্যপূর্ণ নীতিমালার গভীর সংমিশ্রণ। একটি নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। তার প্রধান কৃতিত্ব শেখ হাসিনা সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের। তিনি দেশকে মর্যাদা ও সম্মানের বিশ্বপরিমণ্ডলে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন।বর্তমান সরকারের আমলে,প্রধানত সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নিরলস নেতৃত্বে এই সাফল্যগাথা রচিত হতে শুরু করেছিল,যা বর্তমান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছেন।

সর্বশেষ - জাতীয়

নির্বাচিত সংবাদ

আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

বিজয়ের মাসে বেরোবি ছাত্রলীগ নেতা মামুনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

হাবিপ্রবির রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নেতৃত্বে আবরার-দিলরুবা

ওবায়দুল কাদের

বিএনপির হাত খুন আর হত্যার রাজনীতির রক্তে রঞ্জিত: ওবায়দুল কাদের

রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

নানা কর্মসূচিতে হাবিপ্রবিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাবিপ্রবিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে স্ট্রাটেজিক প্লান বাস্তবায়নের তাগিদ ইউজিসি’র

নীলফামারীতে একাডেমী কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ী দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম

কুড়িকৃবি উপাচার্যের শ্রদ্ধা

বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কুড়িকৃবি উপাচার্যের শ্রদ্ধা