নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর আয়োজনে পদার্থবিদ্যা এবং ফিজিওলজি/মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার ২০২১ জয়ীদের আবিস্কারসমূহ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর সেমিনার কক্ষে উক্ত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সেমিনারের উদ্ধোধন করেন বশেমুরকৃবির ঊপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া। এসময় তিনি প্রফেসর তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্বমানের গবেষণা ফলাফল এবং নোবেল পুরস্কার জয়ী আবিস্কার নিয়ে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার প্রবন্ধ উপ্স্থাপন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, মানব ইতিহাসের অনন্য এসব আবিস্কার নিয়ে আলোচনা আমাদের বিশ্বমানের উদ্ভাবনী গবেষণা পরিকল্পনা তৈরিতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মূখ্য আলোচক হিসেবে আইবিজিই’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলাম ২০২১ সালে পদার্থবিদ্যা এবং মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীদের আবিস্কারসমূহ তুলে ধরেন এবং এসব আবিস্কারের প্রায়োগিক দিক ও ভবিষ্যত গবেষণার সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে আলোকপাত করেন। এসময় তিনি ২০২১ সালে আইবিজিই’র গবেষণা প্রকাশনা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ অন্যান্য অসামান্য অর্জন এবং ২০২২ সালের গবেষণা পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেন।
সেমিনারটিতে আইবিজিইর পরিচালক প্রফেসর ড. আশরাফুল হক গেস্ট অব অনার এবং সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. আবিয়ার রহমান, ড. শাহ মোহাম্মদ নাইমুল ইসলাম, ড. দীপালী রাণী গুপ্তা, ড. টোটন ঘোষ, ড. নাজমুল হক, ড. মোস্তাফিজ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. তোফাজ্জল ইসলাম বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির আজীবন ফেলো নির্বাচিত হওয়ায় আইবিজিইর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, গত বছর পৃথিবীর জলবায়ু মডেল, জলবায়ু পরিবর্তনের নিয়ামকসমূহ পরিমাপ, বিশ্বস্ততার সাথে বৈশ্বক উষ্ণায়নের ভবিষ্যদ্বাণী করা এবং ভৌত ব্যবস্থায় পরমাণু থেকে গ্রহ পর্যন্ত বিদ্যমান বিশৃংখলা ও অস্থিরতা পরিমাপের কৌশল আবিস্কারের জন্য প্রফেসর সিয়োকুরো মানাবে, ড. ক্লাউস হাসেলমান এবং প্রফেসর গিওরগিও পারিসিকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
ড. মানাবে এবং ড. হাসেলমান আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর পূর্বে বর্তমানে বহুল আলোচিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পদার্থবিদ্যার মৌলিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। অপরদিকে ড. পারিসি ভৌত ব্যবস্থায় পরমাণু থেকে গ্রহ পর্যন্ত বিদ্যমান বিশৃংখলা ও অস্থিরতা পরিমাপের কৌশল আবিস্কার করেন। তাঁদের আবিস্কার বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জ্ঞানের প্রসার এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘাত মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় খাপখাওয়ানোর কৌশল উদ্ভাবনে নিয়ামক ভুমিকা পালন করছে।
অপরপক্ষে, আমরা কীভাবে স্পর্শ (টাচ) এবং ঝাল বা তাপমাত্রাজনিত ব্যথা অনুভব করি তার আণবিক কৌশল আবিস্কার করেন বিজ্ঞানী আর্ডেম পাটাপাউটিয়ান এবং ডেভিড জুলিয়াস। তাঁদের যুগান্তকারী আবিস্কারসমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞানে নানারকম ব্যথা উপশম, রক্ত চাপ, শ্বসন, মূত্রত্যাগজনিত রোগ ইত্যাদি চিকিৎসায় সহায়ক হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.