বার্তাবুলেটিন ডেস্ক: নারীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন সেবা নিশ্চিত করতে ভেন্ডিং মেশিন তৈরী করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ দাশ। উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে মেশিনটি উদ্ভাবন করেন তিনি।
ভেন্ডিং মেশিনটিতে ৫ টাকার কয়েন দিয়ে সহজেই ন্যাপকিন পাওয়া যাবে। স্টক শেষ হওয়ার আগেই রিফিল করার জন্য সংক্রিয়ভাবে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে বার্তা পাঠাবে যন্ত্রটি। সম্পূর্ন দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজস্ব মাধ্যমে এই ভেন্ডিং মেশিন তৈরী করা হয়েছে যা প্রচলিত ভেন্ডিং মেশিনের তুলনায় সাশ্রয়ী।
মেশিন উদ্ভাবনের বিষয়ে সবুজ দাশ বলেন, এই ভেন্ডিং মেশিন থেকে খুব সহজেই স্যানিটারি ন্যাপকিন নিতে পারবেন সকল শ্রেণীর নারীরা। সম্পূর্ন দেশীয় প্রযুক্তিতে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এই ভেন্ডিং মেশিন তৈরী করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা স্যানিটারি ন্যাপকিন সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।
প্রকল্পটির তত্ত্বাবধায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে স্কুল কলেজগুলোতে বিশেষত স্কুল গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের যখন শারীরিক পরিবর্তন হয় তখন শুরুর দিকে তারা অনেক সময় দোকান থেকে সেনেটারি ন্যাপকিন কিনতে অস্বস্তি বোধ করে বা স্কুল টাইমে তাদের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ভেন্ডিং মেশিন থেকে খুব সহজেই স্বল্পমূল্যে প্যাড সংগ্রহ করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, এই মেশিনটি ১০০-১২৫ ডলারের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগ যদি এটি তৈরি করতে চায় আমরা তাদের কারিগরি সহায়তা দিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার বলেন, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ভেন্ডিং মেশিনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হলে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুকি কমবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের উপস্থিতি আরো বাড়বে বলে আশা করছি।