আব্দুল মান্নানঃ শহীদ নজিব উদ্দিন খান (খুররম) ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় নরসিংদী বেলাব উপজেলায় দুস্থ ও অস্বচ্ছল মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন, শিক্ষাবৃত্তি, ঘর, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন,অটোরিকশা, টিউবওয়েল ও ক্যান্সার ব্যক্তির সু-চিকিৎসায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাড়ৈচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বেলাব মহিলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে শহীদ নজিব উদ্দিন খান (খুররম) ফাউন্ডেশনের পক্ষে ৬০ জন দুস্থ মহিলাকে সেলাই মেশিন, ২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তি, ০১ জন কে পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক অনুদান,স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতকল্পে ০৫ জনকে ল্যাট্রিনের জন্য অর্থ,১ জন কে অটোরিকশা, ১ জন কে টিউবওয়েল ও ক্যানসার আক্রান্ত এক শিশুর চিকিৎসায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বেলাব সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি রাবেয়া খাতুন শান্তি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনুর আক্তার। শহীদ নজিব উদ্দিন খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো এবং দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন।
মহিলা পরিষদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক খালেদা শারমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজরিন হক হেনা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শরফুদ্দিন মোমেন খান, প্রভাষক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার শাহিনুর আক্তার নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নিজেকে নারী হিসেবে কল্পনা না করে একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করুন। আপনি যখন নিজেকে মানুষ হিসেবে কল্পনা করতে শুরু করবেন তখন আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। মানসিক প্রতিবন্ধকতাই আমাদের নারীদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। আমি ধন্যবাদ জানাই মহিলা পরিষদ কে যারা পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রফেসর ড. এম.আফজাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীন হন নজিব উদ্দিন খান খুররম। সমাজ এবং দেশের কল্যাণে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন বলেই নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে তার পক্ষে যুদ্ধে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। একইভাবে তার ছোট ভাই এনায়েত উদ্দিন মোঃ কায়সার খান যুদ্ধে গিয়েছিলেন কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি আমাদের মাঝে বেচে ফিরেন। দেশ, জাতি এবং মানুষের কল্যাণের যে চিন্তা, চেতনা সেটি এখনো তার মাঝে আছে। আর যে কারণে তিনি নিরবে নিভৃতে মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আজ শহীদ নজিব উদ্দিন ফাউন্ডেশন হতে যে সেলাই মেশিন গুলো দেয়া হলো সেগুলোর যদি সঠিক ব্যবহার হয় তাহলে আগামীতেও আমাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমি মনেকরি, এই সেলাই মেশিন গুলো নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আত্মস্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ধন্যবাদ মহিলা পরিষদকে এত সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।
অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মতিউর মাস্টার, নারায়ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন খান সেন্টু, মাহফুজুর রহমান খানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।