বার্তাবুলেটিন ডেস্ক: নিখোঁজের দুদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মিললো নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের লাশ। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি অতিরিক্ত আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানকে দেড় ঘণ্টা কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও শিক্ষকেরা তালা খুলে তাকে মুক্ত করে। এ সময় রোববার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক বৈঠকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। শুক্রবার সকালে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের বাসা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বোনের বাসার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রোববার বিকেলে মো. ফজলুর রহমানের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক জানান, অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে।
এসআই আরও জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জহির নামে একব্যক্তি ফজলুর রহমানকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। এরপর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থান রোববার সকাল ৭টায় মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, নেশা জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে তাকে অজ্ঞান করে সব কিছু লুট করে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। তবে ময়নাতদন্ত শেষে আসল ঘটনা জানা যাবে।
এদিকে মৃত্যুর খবরে পরিবার ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফজলুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়টিকে রহস্যজনক উল্লেখ করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা ।