বার্তবুলেটিন ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা আর পশ্চিমাদের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে কাতারে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্বকাপের আসর। কাতারে আগত বিশ্বকাপের পর্যটকদের জন্য থাকছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। মাঠের মধ্যে পান করা যাবে না মদ। ছোট পোষাক পড়লে এড়িয়ে চলতে হবে মল, সরকারি অফিস। ঘনিষ্ট অবস্থায় ধরে পড়লে পর্যটকদের পড়তে হবে শাস্তির মুখে।
ফুটবল বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই দামামা বাজছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফুটবল উৎসবের। কাতারে পারি জমাতে শুরু করে দিয়েছেন সমস্ত দেশের সমর্থকরা। যদিও অন্যান্য ইউরোপিয় দেশের থেকে এবার কাতারে সমর্থকদের অনাবিল আনন্দে রাশ টানা হচ্ছে। ইউরোপ বা লাতিন আমেরিকায় মদ্যপানে সেভাবে নিষিদ্ধ না থাকলেও কাতারে প্রকাশ্যে মদ্যপানে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। যদিও বার, হোটেলে মিলবে সুরা। স্টেডিয়ামের ভিতরে নির্দিষ্ট একটি জায়গাতেই নির্দিষ্ট একটি সংস্থার বিয়ার খাওয়া যাবে। পাবলিক প্লেসে মদ্যপান করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে। অবিবাহিত পুরুষ মহিলারা এক সঙ্গে হোটেলে থাকতেই পারেন। তবে রাস্তা ঘাটে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখা গেলে হাজতবাস পর্যন্ত হতে পারে কাতারে আগত ভিনদেশি পর্যটকদের। যদিও হাত ধরে ঘোড়ায় কোনও অসুবিধা নেই কাতারে। থাকছে পোষাকের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্য বাধকতা। যেমন কাতারের বিশ্বকাপের আয়োজকদের থেকে অনুরোধ করা হয়েছে ভিনদেশি সমর্থকরা যেন কাতারের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে অশোভনিয় পোষাক না পড়েন। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা মলের সামনে ছোট পোষাকে পরিহিত পর্যটকদের থাকতে বারণ করা হচ্ছে।
কাতারে বসবাসকারি মহিলাদের অনুমতি ছাড়া তাদের কোনওরকম ছবি তোলা যাবে না। রয়্যাল হাউস নিয়ে বা রাজনীতি নিয়ে কাতারের মানুষের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও সংযত থাকতে বলা হয়েছে। মার্কিন মুলুক হোক বা স্পেন,পর্তুগাল,ফুটবল বিশ্বকাপ সবসময়ই পর্যটকদের কাছে রুপ নিয়েছে এক উৎসবের। যে উৎসবে সামিল হতে পারতেন সকলে। মনের মতোই উপভোগ করা যেত। যদিও কাতারে ফুটবল উৎস। ব্যতিত,অন্যান্য বিষয় মেতে থাকার বিষয় থাকছে বহু নিষেধাজ্ঞা।