বাকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কুড়িকৃবি ভিসির শুভেচ্ছা

প্রকাশ:

Share post:

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এ.কে.এম.জাকির হোসেন। তিনি বাকৃবির সাবেক ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে থাকাকালে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করলেও শিক্ষা জীবন এবং কর্ম জীবনের প্রিয় ঠিকানা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছাতে জানাতে অপেক্ষা করেননি তিনি।কৃষি, কৃষির অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ,খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়টির নানা ভুমিকা এবং বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরে ফেসবুকে নিজ ওয়ালে পোস্ট করেছেন। পাঠকদের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর এর স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

মানব সভ্যতার পথচলার সূচনা কৃষির হাত ধরে। মানব জীবনের অস্তিত্বকে অর্থবহ করতে কৃষির ওপর নির্ভরতা সময়ের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে বেড়ে চলেছে। আজ অবধি তাই কৃষিই আমাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর হল কৃষি।গ্রামের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে প্রথমে আসে কৃষি উন্নয়ন- কৃষি ভিত্তিক শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের উন্নয়ন। কৃষিভিত্তিক খাতগুলোর এই উন্নয়ের পাশাপাশি দেশে কৃষি ভিত্তিক শিক্ষার প্রসারে যে প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তার নাম ” বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়”।কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট পথ চলা শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়”।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ও ক্যাম্পাসের পুরো পরিকল্পনা করেন আমেরিকার তৎকালীন বিখ্যাত স্থপতি প্রয়াত পল রুডলফ (১৯১৮-১৯৯৭। ১৯৬১ সালে আনুমানিক ৪৪৪ জন শিক্ষার্থী ও ৩০ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশের কৃষিখাত ও দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপীঠ আজ গৌরবের সাথে ৬১ বছর পেরিয়ে ৬২তম বছরে পদার্পণ করেছে।১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী আমদের জাতি রাস্ট্রের মহান স্রস্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানে এসে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান এবং কৃষিবিদদের প্রতি যে প্রত্যাশা রেখেছিলেন তা পুরনে গুণে-মানে-সৃষ্টিতে সত্যিকার অর্থে কৃষিশিক্ষার তীর্থ বিদ্যাপীঠ হয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে প্রিয় এই বিদ্যাপীঠ।উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি সময়ের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আমাদের আলমা মেটা প্রকৃতিকন্যা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

আরও পড়ুন:  হাবিপ্রবির কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠণ
spot_img

সংবাদ সারাদেশ

ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ গ্রীন ভয়েসের ৭ দাবি

পরিবেশ সুরক্ষায় পুরনো যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করা ও কালো ধোঁয়া নির্গমন ঠেকাতে ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ ৭ দফা...

জানাক ও বৈষম্যবিরোধীর নেতৃত্বে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে আসছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ...

কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নিন্দা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দেশের পাবলিক...

ইটভাটায় কাজে গিয়ে নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে একটি ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের ১৯...

Discover more from bartabulletin.com

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading