বার্তাবুলেটিন ডেক্সঃ বাংলাদেশ একাডেমী অফ সায়েন্সেস (বি.এ.এস.) বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে একাডেমির গত বছরের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী ও কার্যক্রম এবং আগামী বছরের কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এতে নতুনভাবে নির্বাচিত ফেলো এবং সহযোগী ফেলোদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ (Induction) করা হয়।
গত বছর থেকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৬ জন বিজ্ঞানীকে সহযোগী ফেলো হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ও গ্রহণ করা হয়। এই সহযোগী ফেলোরা হলেন অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, চুয়েট; ড. মোঃ আশরাফুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক, ফার্মাসিউটিকাল সাইন্স বিভাগ, এন.এস.ইউ; অধ্যাপক গুলজার হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি এবং হাইজিন বিভাগ, বি.এ.ইউ; ড. মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, বি.এস.এম.আর.এ.ইউ, গাজীপুর; ড. ইঞ্জি. ইমরান খান, সহযোগী অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; এবং ড. মাহমুদা বেগম, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার, বি.সি.এস.আই.আর। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একডেমিতে ফেলো এবং সহযোগী ফেলো হিসাবে তারাই নির্বাচিত হন যারা তাদের নিজ নিজ গবেষণা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
এছাড়া, ২০২২ সালে নির্বাচিত ফেলো যথাক্রমে ড. সায়রা বানু, আই.সি.ডি.ডি.আর.বি; অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা; অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ, উপাচার্য, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড. মোঃ তানভীর রহমান, বি.এ.ইউ. ও ২০২৩ সালের ফেলো যথাক্রমে অধ্যাপক ড. একেএম আখতার হোসেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, বুয়েট; অধ্যাপক ড. কাজী দীন মোহাম্মাদ, জাতীয় নিউরোসাইন্স ইন্সটিটিউট; অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, বি.এ.ইউ; ড. মোঃ তৌফিকুর রহমান ভূঁইয়া, আই.সি.ডি.ডি.আর.বি. ও অধ্যাপক ড. মোঃ এনামুল হক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় -দেরও এই সভাতে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান একাডেমী আছে। যা সংশ্লিষ্ট দেশের বিজ্ঞান গবেষণা সংক্রান্ত কাজে অবদান রাখে এবং জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ে নীতি নির্ধারনীতে অবদান রাখে। যেমনঃ সিংগাপুর ন্যাশনাল একাডেমী অফ সাইন্সেস, ইন্ডিয়ান একাডেমী অফ সাইন্সেস।
বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস (বি.এ.এস) ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়, যা দেশের প্রধান বৈজ্ঞানিক সংস্থা। বিজ্ঞান একাডেমি দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ফেলোদের দ্বারা গঠিত একটি অরাজনৈতিক সংস্থা। বি.এ.এস. এর প্রথম সভাপতি ছিলেন ড. এম. কুদরত-ই-খোদা। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি এমিরেটাস অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, যিনি ইলিশের জিন রহস্য ও পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
এছাড়া, বাংলাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা এই একাডেমীর ফেলো যেমন অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. অরুন কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব সহ আরও অনেকে।