হাবিপ্রবি, দিনাজপুর: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এবং থাইল্যান্ডের কাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটির মধ্যে গবেষণা, কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণমূলক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারক কেবলমাত্র একাডেমিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রম একত্রিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানের ফলাফল অর্জনে সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দুপুর ১২.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স কক্ষে উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাবিপ্রবির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা এবং কাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. কর্নসর্ন শ্রীকুলনাথ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, ফিসারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.এস.এম. কিবরিয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রফেসর ড. এ.কে.এম. রুহুল আমিন, প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ, কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. থিতিপং পুনথুম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মো. খাদেমুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলমসহ অন্যান্যরা। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে একটি আন্তঃসংযোগ তৈরি হলো, যা ভবিষ্যতে সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, থাইল্যান্ড আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং উন্নয়ন অংশীদার। হাবিপ্রবি ও কাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটির মধ্যে এই সমঝোতা শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিকীকরণের পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে নতুন শিক্ষা পদ্ধতি ও গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হবে, যা ছাত্রদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, এর মাধ্যমে দুই বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অংশীদার হবে এবং যৌথভাবে বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের অধীনে অর্থায়নের জন্য আবেদন করবে। বছরে একবার যৌথ কার্যক্রমের প্রতিবেদন তৈরি করা হবে এবং সমন্বয়ের জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একজন করে লিয়াজোঁ অফিসার মনোনয়ন করবে। যৌথ গবেষণার ফলে উদ্ভাবিত কোনো প্রযুক্তি বা গবেষণার ফলাফল বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে হলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। এই সমস্ত প্রক্রিয়া এবং সহযোগিতার ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং গবেষণা কার্যক্রমগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে। এই সমঝোতা স্মারক শুধুমাত্র গবেষণা কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে।