কোথায় ঘুরতে বেড়িয়েছেন আর কাউকে দেখে ভালো লেগেছে। মনের রঙে রাঙিয়ে আপন করতে চাইছেন তাকে। প্রিয় মানুষকে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে হয়তো মেসেজও করে বসলেন। কিন্তু উলটো দিকের সাড়া কই? যাকে পাঠালেন, তিনি যে প্রণয়বার্তা খুলেও দেখেননি! তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন?
মোটেও না। কার ভাগ্যে কী লেখা, কে বলতে পারে? অদৃষ্ট হয়তো লিখে রেখেছে, বাকি জীবন দু’জন একসঙ্গেই পথ চলবেন। যাকে বলে ‘মেড ফর ইচ আদার!’
হয়ে যেতে পারে নয়, এমনটাই হয়েছে। যার মেসেজ খুলেই দেখেননি, এক যুগ পরে তার সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এক তরুণী।
পেশায় চিকিৎসক সেই রঞ্জুশ্রী মণ্ডল (ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী) গত ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে তারই সিনিয়র সতীর্থ চিকিৎসক অমিত হালদারের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার রঞ্জুশ্রী সে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল।
২০১৯ সালে অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজির প্রথম বর্ষের ছাত্রী রঞ্জুশ্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় সিনিয়র অমিত হালদারের। একসঙ্গে কাজ করতেন, সিনিয়র হিসাবে অমিতবাবুকে পছন্দও করতেন। তবে তখন বিশেষ কথাবার্তা হত না। বহু পরে একদিন ফেইসবুকে অমিতকে অনলাইন দেখে মেসেজ করতে গিয়ে রঞ্জুশ্রী মেসেঞ্জার খুলে আঁতকে ওঠেন। দেখেন, সেই ২০১১ সালে তাকে মেসেজ করেছিলেন অমিত, কিন্তু তা অপঠিতই পড়ে রয়েছে!
মেসেঞ্জারের ওই স্ক্রিনশট পোস্ট করে রঞ্জুশ্রী জানিয়েছেন, তারপর থেকে ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়েছে, পরিণতিতে চার হাত এক হয়েছে।
পোস্টের সবশেষে রয়েছে নবীন ছেলেমেয়েদের প্রতি আশাবাদী বার্তা, ‘‘সো গাইজ, নেভার লুজ হোপ। হাল ছেড়ো না। কে বলতে পারে, আজ যে পাত্তা দিচ্ছে না, কাল সেই হয়তো ঘরনি হয়ে আসবে না! তবে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন