রনবীর রায় রাজ, নিজস্ব প্রতিনিধি: লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুড়াকুটি গ্রামের সহকারী স্কুল শিক্ষক লক্ষীকান্ত বর্মণ হাইব্রিড জাতের করলা চাষে করে সাফল্য আজ কৃষিক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। ঐ স্কুল শিক্ষক এবার ৬ বিঘা জমিতে লাল তীর জাতের হাইব্রিড করলা চাষ করে এলাকায় সফল চাষী হিসেবে নাম অর্জন করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজ করে সফলতা অর্জন করায় তাকে বাহবা দিয়েছেন অনেকেই।
পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে তিনি স্বল্প সময়ে খাদ্যগুণসমৃদ্ধ উচ্চমূল্যের করলা চাষে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি অতি দ্রুততার সঙ্গে উচ্চমানের ফলন পেয়েছেন।
গত এপ্রিল মাস থেকে চলতি মাস পযন্ত করলা থেকে বীজ বের করে করলার ছাল বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন তিনি। করলা ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় করলার গাছে করলার বাম্পার ফলন যা করলার রাজ্য বলা চলে।
পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে শিক্ষক লক্ষীকান্ত বর্মণ বলেন, ‘সাধারণভাবে করলা চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় না। তবে মালচিং পেপার ব্যবহারে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এটি গাছকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও অতি বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে, সারের অপচয় রোধ করে, আগাছা দমন করে এবং মাটির আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।’
শিক্ষক লক্ষীকান্ত বর্মণ হাইব্রিড জাতের করলা ক্ষেত পরিদর্শন করেন লাল তীর সীড লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মাহাবুব আনাম, নির্বাহী পরিচালক জনাব ড. মোঃ ইসরাত হোসেন সহ আরো অনেকেই। শিক্ষক লক্ষীকান্তর এই সফলতা দেখে গ্রামের কৃষকরাও তার কাছ থেকে করলা চাষে পরামর্শ নেন এবং করলা চাষে উৎসাহিত হন।