হাবিপ্রবি, দিনাজপুর: বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) “ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগ মুক্তি” এই প্রতিপাদ্যকে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে আজ সকাল ৯.৩০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে বর্ণিল র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভেটেরিনারি অনুষদ চত্বরে শেষ হয়। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অডিটোরিয়াম-২ তে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, সভাপতিত্ব করেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. উম্মে সালমা। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইরি এন্ড পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তাহেরা ইয়াসমিন।
আলোচনা সভায় নবনিযুক্ত প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই আমার প্রথম কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ। তাই এই অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি বলেন, পুষ্টিগুণ বিবেচনায় দেশের জনগণ সকলেই যেন ডিমকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে সেজন্য আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই পুষ্টিকর খাদ্যটি যেন মানুষ স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারে সে লক্ষ্যে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ আশি ভাগ সাধারণ জনগণকে সামনে রেখে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, তাহলেই ডিম দিবসের তাৎপর্য সাফল্যমন্ডিত হবে। ডিমকে যদি সমাজের একটি শ্রেণীর খাদ্য হিসেবে চিন্তা করা হয় তাহলে সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে। তাই সাধারণ জনগণের জন্য সহজলভ্য হিসেবে এর উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য ভিসি মহোদয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
You must be logged in to post a comment.