জয়ের অর্ধেক কাজটা সেরেই রেখেছিল রংপুর রাইডার্সের বোলাররা। দেখার বিষয় ছিল কত দ্রুত বিপিএলে হ্যাটট্রিক জয় পাবে গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে ৩০ বল হাতে রেখে রংপুরের ৮ উইকেটের জয়ে। মিরপুরে ১২৫ রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না রংপুরের।
ফরচুন বরিশালের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের তোপে দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসারের সেই তোপ সামলিয়ে পরের গল্পটা দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের। তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ১১৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন দুজনে।
ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও না পাওয়া সাইফ আজ সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন। এবারের বিপিএলের প্রথম ফিফটির ইনিংসটি খেলেছেন ৬২ রানের। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। অন্যদিকে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার হেলস। তার ইনিংসে ৪ চারের বিপরীতে ছয় ৩টি। হ্যাটট্রিক জয়ে শীর্ষস্থানটাও আরো মজবুত করেছে রংপুর। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জয় পেয়েছে তারা। ৬ পয়েন্টে তালিকার রাজত্ব তাই তাদের হাতেই। এখন পর্যন্ত আর কোনো দলই ৪ পয়েন্ট পায়নি। ঢাকা, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম কিংস তো এখন কোনো পয়েন্টই পায়নি।
রংপুর রাইডার্সের দুর্দান্ত ফর্ম বিপিএলের এবারের আসরে তাদের শীর্ষস্থানে আরও শক্তিশালী করেছে। বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিং নৈপুণ্যে সহজেই জয় নিশ্চিত করেছে দলটি।
সাইফ হাসানের প্রথম ফিফটি এবং অ্যালেক্স হেলসের দায়িত্বশীল ইনিংস তাদের জয়ের মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফরচুন বরিশালের বোলারদের শুরুতে চমৎকার পারফরম্যান্স সত্ত্বেও রংপুর তাদের অভিজ্ঞতা এবং ব্যাটিং গভীরতা দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
রংপুরের এই ধারাবাহিকতা এবং বাকি দলগুলোর তুলনামূলক দুর্বল পারফরম্যান্সের ফলে টেবিলের শীর্ষে তাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তাদের বর্তমান ফর্ম যদি ধরে রাখতে পারে, তবে এবারের বিপিএলে তারা অন্যতম ফেভারিট হিসেবে থাকছে।