কোনো অনির্বাচিত সরকারের নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেছেন, সংবিধানে যেকোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারই করতে পারে। অন্যথায় ১৬ বছরের নিপীড়নকারী ফ্যাসিবাদী দল সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। এতে আমাদের নিজেদের মধ্যেও বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার বিকেলে নাটোর শহরের কানাইখালীতে জেলা ছাত্রদলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।
দুলু বলেন, তবু সংবিধানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দল ও মতামতের ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় প্রায় দুই হাজার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। দেশের জনগণের ওপর জুলুমকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ যে হত্যা, গুম, খুন ও নিপীড়ন চালিয়েছে, সেই খুনি হাসিনা ও তার দলকে আমরা কোনোভাবেই আর সুযোগ দিতে পারি না।
নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো দেন নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, রবিউর রহমান টিটন, শহীদুল্লাহ সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন।
দুলু আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে এ দেশের ছাত্র ও জনতা যেমন দেশের টানে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ছাত্র ও জনতা রাজপথে নেমে, নিজের প্রাণের বিনিময়ে, ১৬ বছর ধরে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া খুনি হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এখন আমাদের শক্ত হাতে এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নইলে পাশের দেশের সহযোগিতায়, সেখানে বসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বৈরাচারী হাসিনা সুযোগ নিয়ে অপচেষ্টা চালাবে এবং দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করবে।