থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসন পরিচালিত বিশেষ অভিযানে মাদক সেবনের অভিযোগে ৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪) রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন নামে পরিচিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের কেউ কেউ মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটি নোটিশ জারি করে থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের রাত ১০টার মধ্যে হলে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশও ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর টিম সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক পরিস্থিতি দেখা দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ অভিযানের অংশ হিসেবেই সুন্দরবন এলাকায় দুইটি শিক্ষার্থী গ্রুপকে আটক করা হয়।
প্রথম গ্রুপের মধ্যে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএলসি বিভাগের মো. শিপন হোসেন ও সতীর্থ বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের প্রিয়ন্তি নাগ এবং উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের আফরিন আক্তার আশা। অপর গ্রুপের সদস্যরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের হ্রই মুইং স্যাং মারমা ও কৃষন চন্দ্র বর্ম্লন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের খেংচেংফ্রু মারমা ও পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের থোয়াইনুপ্রু, এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের মাসুই মারমা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম জানান, মাদক সেবন ও বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে আগে থেকেই সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অভিযানে আটক শিক্ষার্থীদের পরিচয় সংগ্রহ ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রক্টর আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সতর্ক ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”
আটককৃত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।