ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি দুইটি অনুষদে সর্বোচ্চ ৪০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি ও মৎস্য অনুষদ এবং প্রয়োজনীয় জনবল অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় শিক্ষা কার্যক্রম যথাযতভাবে পরিচালনার জন্য মেধাবী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট ২০২৩) ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলমগীরের সভাপতিত্বে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত অনুষদ, বিভাগ ও জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধীকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু নঈম শেখ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাইফুদ্দীন, ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমানসহ ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন সংবাদ লাইভ-কে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী বছর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে এটি সত্যিই আনন্দের খবর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করবো। কৃষি শিক্ষায় আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি বাস্তবায়নে নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরির জন্য সমস্ত কোর্স কন্টেন্ট তৈরি করা হয়েছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেল ইন্টার্নশিপের আওতায় ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লিংকেজ এবং ফারমার্স ফিল্ড এটাচমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করতে যা যা করা দরকার তা করতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো। শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যুগোপযোগী কৃষি শিক্ষা, কৃষি গবেষণা সম্প্রসারণ ও কৃষির যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বেগবান করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।